বৃহন্বলা
– অভিব্রত
আমায় দেখে টিটকিরি তোর, আমায় নিয়ে খেলা
পাচ্ছে হাসি, হাস না তবে, আমি বৃহন্বলা
জন্মালে তুই শঙ্খ বাজে, মিষ্টি বিতরন
আমার বেলা কাঁদছিলো মা, রাখছিলো গোপন
আমিও মাঠে খেলতে যেতাম, তখন ছেলেবেলা
দুর করলো প্রকাশ হতেই, আমি বৃহন্বলা
স্কুল এর খাতায় টুম্পা ছিলাম, কেউ ছিল মানসী
এখন সবাই এক পরিচয়, একটাই নাম – ‘মাসী‘
প্রেমিক ছিল, জানতে পেরেই পালিয়ে গেলো দুরে
এখন আমি হাততালি দিই, নাচতে পারি ঘুরে
সবাই তোরা ‘সুস্থ‘, কত মিষ্টি তোদের গলা
কর্কশ আমার কণ্ঠ কারণ আমি বৃহন্বলা
হাত পেতেছি রাস্তাঘাটে, ট্রাফিক সিগনালে
কাঁচ নামিয়ে পাঁচ টাকা দিস, তীক্ষ্ন হাসি গালে
কাঁচের ভিতর প্রেমিকা তোর লজ্জা পেলো বুঝি
আমায় দেখে; কেন রে বোন, কি আমি অশুচি?
“উফ ছাড়োতো, এদের সাথে ফাল্তু কথা বলা”
কারণ আমার যৌনতা নেই, আমি বৃহন্বলা
পুরুষাঙ্গে গর্ব রে তোর, পৌরুষতায় ফাঁকি
স্বচ্ছ মেরুদন্ড দেখে লজ্জাতে মুখ ঢাকি
আমার কেবল অঙ্গ বিশেষ একটু অনিয়ম
সবাই তোরা প্রতিবন্ধী, কেউ বেশি কেউ কম
নারীত্ব সব কক্ষে আর বক্ষে গেলো থেমে
হার মেনেছে প্রেমও তোদের যৌন খেলায় নেমে
ভণ্ডামি আর মিথ্যে প্রেমের চাইতে অবহেলা
অনেক শ্রেয়; ধন্য আমি, ধন্য বৃহন্বলা ।।